* শ্রী বিশ্বজিৎ সরকারের সৌজন্যে প্রাপ্ত
![](https://static.wixstatic.com/media/c9f588_9ccf5d1ab5724113ba9aba7839cea837~mv2.jpg/v1/fill/w_980,h_754,al_c,q_85,usm_0.66_1.00_0.01,enc_avif,quality_auto/c9f588_9ccf5d1ab5724113ba9aba7839cea837~mv2.jpg)
৪৬/৫ ডি, বালীগঞ্জ প্লেস।কলিকাতা-১৯
৯/২/৯৫
কল্যাণবরেষু,
আপনার ৯/১/৯৫ তারিখে লেখা চিঠিখানি ঠিক সময়েই এসেছে।আমি ইতিমধ্যে বহরমপুরে গিয়েছিলাম এবং ছিলামও কয়েকদিন। ফিরে এসে আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ার অসুখের খবর পেয়ে সেখানে যাই। অবশ্য কলকাতায়ই তিনি আছেন। ফিরে এসে আপনার চিঠি পেলাম।আমার এবার ইচ্ছা ছিল রবীন্দ্রমেলা সম্বন্ধে আপনাদের সঙ্গে একটু আলোচনা করি।কিন্তু কেমন ক’রে যে সময় কেটে গেল। কত ইচ্ছামত কাজ ক’রতে পারলাম না।–
আপনার বছরের পর বছর প্রদীপটি জ্বালিয়ে রেখেছেন আপনাদের আমার বলার আর কি আছে। একটা জিনিষ নিজের বাড়ীর ছেলেমেয়েদের দিয়েই বুঝতে পারছি আমাদের মতন ওরা রবীন্দ্রনাথে নিবেদিতপ্রাণ নয় ।রবীন্দ্রনাথের বইও ওরা পড়ে কম।–এতে দুঃখ পাই।কিন্তু যুগ তো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না।– রবীন্দ্রমেলাটা যেন বেশ একটা হৈ হল্লার আসর হয়ে দাঁড়িয়েছে।পবিত্র সরকার মহাশয় আমার ছাত্রীর স্বামী। তাঁর সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি।তবু আমরা জ্বলন্ত প্রদীপ বহন ক’রে নিয়ে চ’লব। কিছু আলো পড়বেই অন্ধকারে।–
আমার নমস্কার গ্রহণ করুন।
ইতি
প্রীতি গুপ্ত
Comments