
৬/৩/৯২
সাধারণ সম্পাদক
রবীন্দ্রমেলা, বহরমপুর
আপনাদের পাঠানো আমন্ত্রণপত্র পেলাম। আজকাল আমার শরীর খুব খারাপ। বাইরে যাওয়া বারণ।বেরলেই শরীর খারাপ হয়। তবু আপনাদের ওখানে একবার যেতে পারলে ভালো হতো অনেক বছর আগে একবার গিয়েছিলাম। কারা যেন আমাকে সম্বর্ধনা জানিয়েছিল চিত্র পরিচালক হিসেবে। আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ঋত্বিক ঘটক নানা কারণে সেবারের অভিজ্ঞতা আমার কাছে খুব সুখস্মৃতিময় হয়ে ওঠেনি।নানা কারণে বাইরে যেতে তাই আমার স্বভাবের মধ্যে রয়েছে খানিকটা দ্বিধা-সংকোচ। তবু বলছি আপনাদের পক্ষ থেকে যদি কেউ এসে কথা বলেন, আসা যাওয়া থাকা ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা করে যদি উৎসাহ পাই, চেষ্টা করব যাওয়ার।আমি অ্যাজমা রুগি। থাকার সুবন্দোবস্ত ছাড়া কোথাও যেতে পারি না। এ সব জায়গাতেই যাই শুধু, যেখানে আমাকে বিশেষভাবে দেখবার পরিচিত লোকজনেরা থাকে। বিশেষভাবে দেখা মানে, কোন রাজকীয় ব্যাপার নয়। হয়তো গরম জল লাগবে, হয়ত এখুনি দরকার একটা ওষুধ এই জাতীয়।
দ্বিতীয় কথা, বহরমপুরে থাকেন রেজাউল করিম। তাঁকে আপনারা চেনেন? শুনেছি বঙ্কিমচন্দ্রের বহরমপুর বাসকালীন নানান কাগজপত্র আছে তাঁর কাছে। আমি তাঁর সঙ্গে আলাপ করে সামান্য সাহায্য পেতে চাই। সেটা কি করে দিতে পারবেন? তিনি ছাড়া অন্য কারো কি বঙ্কিমবাবু সংক্রান্ত কাগজপত্র আছে? জানেন? তাহলে তাও জানাবেন। এই দুটো ব্যাপারে উৎসাহজনক খবর পেলে সম্ভবত যাবই।
শুভেচ্ছাবাণী কেন লিখবো ওসব বড় মানুষেরা আর বুড়ো মানুষের লেখে। বরং রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে ছোট্ট একটা লেখা দেব।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা সহ
পূর্ণেন্দু পত্রী
Comments